fbpx

পিঠের মাঝখানে ব্যথার কারণ, লক্ষন ও প্রতিকার 

পিঠে ব্যথা হলো পিঠের যেকোনো অংশে ব্যথা বা অস্বস্তি বোধ করা। এটি একটি সাধারণ সমস্যা যা জীবনের কোনো এক সময়ে হতে পারে , যা  প্রায় সকল মানুষকে প্রভাবিত করে। পিঠে ব্যথার তীব্রতা হালকা থেকে তীব্র পর্যন্ত হতে পারে এবং এটি ক্ষণস্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

আমাদের পিঠে হাড়, পেশী, ডিস্ক, টেন্ডন এবং লিগামেন্টের একটি জটিল গঠন রয়েছে যা আমাদের চলাফেরা করতে সক্ষম করে। যদিও পিঠে ব্যথা প্রধানত অনেক কারণে হয়, কিছু ক্ষেত্রে পিঠে ব্যথার কারণ অস্পষ্ট থাকে।

সাধারণত পিঠের ব্যথা মূলত টেনশন, ডিস্ক সার্জারি, স্ট্রেন বা আঘাতের কারণে হয়। এছাড়াও, আমাদের মেরুদণ্ডের অংশগুলি ডিস্ক, তরুণাস্থি-সদৃশ প্যাডগুলির সাথে কুশনযুক্ত। এই উপাদানগুলির যেকোনো একটির সাথে সমস্যা হলে পিঠে ব্যথা হতে পারে। অস্টিওপোরোসিসের মতো মেরুদণ্ডের সমস্যাও পিঠে ব্যথার অন্যতম কারণ।

পিঠের মাঝখানে ব্যথার অনেক কারণ রয়েছে। কিছু সাধারণ কারণ হল:

১. পেশী বা লিগামেন্টে চাপ বা আঘাত

২. মেরুদণ্ডের ডিস্ক সমস্যা

৩. মেরুদণ্ডের অস্টিওআর্থারাইটিস

৪. স্পন্ডাইলোলাইসিস 

৫. কিডনি সংক্রমণ

৬. মানসিক চাপ বা স্ট্রেস

৭. দীর্ঘক্ষণ একই ভঙ্গিতে বসে থাকা

৮. ভারী ওজন তোলা বা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম

৯. পেশীর সঙ্কোচন বা স্পাজম

১০। অনিয়মিত জীবনযাপন

১. পেশী বা লিগামেন্টে চাপ বা আঘাত

পেশী বা লিগামেন্টে চাপ বা আঘাত হওয়া সাধারণত ঘটে শরীরের অতিরিক্ত চাপ বা অত্যধিক পরিশ্রমের কারণে। এটি হঠাৎ কোনো ভুল ভঙ্গিতে দাঁড়ানো, বেঁকে যাওয়া, বা ভারী কিছু তোলার সময় হতে পারে। পেশীর অস্বাভাবিক টান বা স্ট্রেচিং পিঠের মাঝখানে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া, শারীরিক পরিশ্রমের কারণে পেশী ক্লান্ত হয়ে গেলে, সেগুলোতে অকার্যকর সঙ্কোচন বা টান পড়ে, যা ব্যথার কারণ হতে পারে। এই ধরনের আঘাত সাধারণত অস্থায়ী হয় এবং বিশ্রাম নিলে সেরে যায়, কিন্তু যদি আঘাত গুরুতর হয় তবে চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

লক্ষণ:

  • তীব্র ব্যথা যা সাধারণত হঠাৎ শুরু হয়।
  • ব্যথা সাধারণত নির্দিষ্ট একটি স্থানে সীমাবদ্ধ থাকে।
  • হালকা ফোলা বা অস্বস্তি।
  • নড়াচড়ায় ব্যথা বেড়ে যায়।

প্রতিকার:

  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
  • গরম সেক দিন (হিট থেরাপী ডিভাইস ব্যবহার করতে পারেন)।
  • অতিরিক্ত ব্যাথায় ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • দীর্ঘমেয়াদি হলে ফিজিওথেরাপির পরামর্শ নিন।

২. মেরুদণ্ডের ডিস্ক সমস্যা

মেরুদণ্ডে বেশ কয়েকটি ডিস্ক থাকে যা কশেরুকার মধ্যে শক অ্যাবজর্বার হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ, শরীরের ভার সঠিকভাবে বন্টন করে। যখন এই ডিস্কের মধ্যে কোনো সমস্যা হয়, যেমন হেরনিয়েটেড ডিস্ক বা ডিস্ক সরে যাওয়া, তখন এটি মেরুদণ্ডের নার্ভে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এই চাপ পিঠের মাঝখানে প্রচণ্ড ব্যথা, ঝিনঝিন বা পায়ের নিচের অংশে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। ডিস্কের সমস্যা গুরুতর হলে অস্ত্রোপচারও প্রয়োজন হতে পারে।

লক্ষণ:

  • তীব্র ব্যথা যা পিঠ থেকে নিতম্ব বা পা পর্যন্ত যেতে পারে (সায়াটিকা)।
  • ঝিনঝিন বা অবশ অনুভূতি।
  • মাংসপেশীতে দুর্বলতা।
  • নড়াচড়া করলে বা ভারী কাজ করলে ব্যথা বেড়ে যায়।

প্রতিকার:

  • অল্প ব্যথার ক্ষেত্রে হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন ।
  • পেশী শক্তিশালী করার ব্যায়াম করুন।
  • ব্যথা খুব তীব্র হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইঞ্জেকশন বা ওষুধ গ্রহণ করুন।
  • গুরুতর অবস্থায় সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে।

৩. মেরুদণ্ডের অস্টিওআর্থারাইটিস

অস্টিওআর্থারাইটিস হলো একটি যৌথ রোগ, যা সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে সাথে হয়ে থাকে। এই রোগে, মেরুদণ্ডের জয়েন্ট এবং কার্টিলেজ (হাড়ের মধ্যে অবস্থিত নরম স্তর) ক্ষয় হতে শুরু করে, যার ফলে মেরুদণ্ডের হাড় একে অপরের সাথে ঘষা খেতে থাকে এবং ব্যথা সৃষ্টি হয়। এটি বিশেষ করে মেরুদণ্ডের নিম্ন অংশে ব্যথা সৃষ্টি করে। এর ফলে পিঠে স্থায়ী ব্যথা, rigidity, এবং চলাচলে অসুবিধা হতে পারে।

লক্ষণ:

  • ধীরে ধীরে ব্যথা বাড়ে।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠার পর stiffness বা শক্ত ভাব।
  • ব্যথা চলাফেরা বা কাজ করার সময় বাড়ে।
  • পিঠ বাঁকাতে বা সোজা করতে সমস্যা হয়।

প্রতিকার:

  • আধুনিক হিট থেরাপীর মাধ্যমে ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করুন।
  • নিয়মিত হালকা ব্যায়াম বা ইয়োগা করুন।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং পুষ্টিকর খাবার খান।
  • দীর্ঘমেয়াদী ক্ষয় হলে সার্জারি বিবেচনা করতে হতে পারে।

৪. স্পন্ডাইলোলাইসিস

স্পন্ডাইলোলাইসিস একটি মেরুদণ্ডের রোগ যেখানে মেরুদণ্ডের হাড়ে ক্র্যাক বা ভাঙ্গন হয়। এটি সাধারণত স্পোর্টস বা অন্যান্য শারীরিক কাজের জন্য শরীরকে অতিরিক্ত চাপ দেয়ার কারণে হয়। ভারী বস্তু তুললে বা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের ফলে এই রোগটি হতে পারে। এর ফলে পিঠের মাঝখানে তীব্র ব্যথা সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে মেরুদণ্ডের নিম্ন অংশে। এই ধরনের ব্যথা কিছু দিন পর চরম আকার নিতে পারে, তাই চিকিৎসার প্রয়োজন।

লক্ষণ:

  • তীব্র ব্যথা, বিশেষ করে মেরুদণ্ডের নিচের অংশে।
  • শারীরিক কাজ করলে ব্যথা বেড়ে যায়।
  • ব্যথার সাথে পিঠে শক্ত ভাব।

প্রতিকার:

  • ভারী কাজ বা শারীরিক চাপ এড়ান।
  • ফিজিওথেরাপি বা কোর স্ট্যাবিলিটি ব্যায়াম করুন।
  • হিট থেরাপী ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যাথা নিয়ন্ত্রন করুন।
  • প্রয়োজন হলে ব্রেস বা অস্ত্রোপচার বিবেচনা করুন।

৫. কিডনি সংক্রমণ

কিডনি সংক্রমণ বা কিডনি পাথরের কারণে পিঠের মাঝখানে তীব্র ব্যথা হতে পারে, বিশেষ করে একপাশে। কিডনি সংক্রমণ হলে, এর সাথে সাধারণত প্রস্রাবে ব্যথা, জ্বর, এবং প্রস্রাবের রঙে পরিবর্তন দেখা দেয়। কিডনি পাথর (kidney stones) যদি মেরুদণ্ডের কাছাকাছি অংশে চলে আসে, তবে সেটিও তীব্র ব্যথার কারণ হতে পারে, যা পিঠের নিচের অংশে অনুভূত হয়।

লক্ষণ:

  • পিঠের একপাশে তীব্র ব্যথা।
  • প্রস্রাবে জ্বালা বা ব্যথা।
  • জ্বর এবং কাঁপুনি।
  • মলিন বা লালচে প্রস্রাব।

প্রতিকার:

  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করুন।
  • প্রচুর পানি পান করুন।
  • যদি পাথরের সমস্যা হয়, তাহলে সার্জারি বা বিশেষ চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

৬. মানসিক চাপ বা স্ট্রেস

মানসিক চাপ বা স্ট্রেস শারীরিকভাবে পেশীতে চাপ সৃষ্টি করে, বিশেষ করে পিঠ এবং ঘাড়ে। যখন আমরা মানসিকভাবে চাপ অনুভব করি, তখন আমাদের পেশীগুলো অযথা সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে, যার ফলে পিঠে ব্যথা হতে পারে। দীর্ঘদিন মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে পিঠের মাঝখানে স্থায়ী ব্যথা বা অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। এর ফলে শরীরের অন্যান্য অংশেও ব্যথা অনুভূত হতে পারে, বিশেষ করে ঘাড় এবং কোমর।

লক্ষণ:

  • পিঠে তীব্র চাপ বা টান অনুভব করা।
  • ব্যথার সঙ্গে ঘাড় বা মাথায় চাপ অনুভূত হয়।
  • ক্লান্তি বা দুর্বলতা।

প্রতিকার:

  • রিল্যাক্সেশন টেকনিক (যেমন: ডিপ ব্রেথিং বা মেডিটেশন) প্রয়োগ করুন।
  • কাজের মাঝে বিরতি নিয়ে শরীরকে রিল্যাক্স করুন।
  • স্ট্রেস কমানোর জন্য হালকা ব্যায়াম বা ইয়োগা করুন।
  • প্রয়োজন হলে মানসিক পরামর্শ গ্রহণ করুন।

৭. দীর্ঘক্ষণ একই ভঙ্গিতে বসে থাকা

দীর্ঘ সময় ধরে এক জায়গায় বসে কাজ করা বা বসে থাকার ফলে মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে। কম্পিউটার বা ডেস্কটপে কাজ করার সময় বা গাড়িতে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে পিঠের পেশীগুলো অস্বস্তিতে পড়ে, যা ব্যথা সৃষ্টি করে। দীর্ঘ সময় একই ভঙ্গিতে বসে থাকার কারণে পিঠের স্নায়ুতে চাপ পড়ে এবং মেরুদণ্ডের কাঠামো অস্থির হয়ে যায়।

লক্ষণ:

  • পিঠের মাঝখানে ব্যথা যা সময়ের সাথে বাড়তে থাকে।
  • পিঠ বাঁকানো বা টান দিলে ব্যথা বাড়ে।
  • পেশী শক্ত হয়ে যেতে পারে।

প্রতিকার:

  • কাজের মাঝে বিরতি নিয়ে পিঠ সোজা করে বসুন।
  • প্রয়োজনে পোশ্চার কারেকশন জাতীয় অ্যাডাপটিভ ডিভাইস ব্যবহার করতে পারেন।
  • চেয়ার এবং ডেস্ক সঠিক উচ্চতায় রাখুন।
  • প্রতিদিন অন্তত ২০-৩০ মিনিট হালকা স্ট্রেচিং বা ব্যায়াম করুন।

৮. ভারী ওজন তোলা বা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম

ভারী কিছু তোলার সময় সঠিক পদ্ধতিতে না তোলা এবং অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করার কারণে পিঠের পেশীতে টান বা আঘাত লাগতে পারে। যদি শরীরের ভার সঠিকভাবে বিতরণ না হয়, তখন মেরুদণ্ডের ডিস্কে চাপ পড়ে এবং ব্যথা সৃষ্টি হয়। ভারী বস্তুর শিফটিং বা অধিক পরিশ্রমের ফলে মাংসপেশী ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে, যা পিঠের মাঝখানে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।

লক্ষণ:

  • তীব্র ব্যথা যা পিঠের মাঝখানে কেন্দ্রিত থাকে।
  • ব্যথার সাথে মাঝে মাঝে ফোলাভাব দেখা যায়।
  • পিঠ নড়াচড়া করতে সমস্যা হয়।

প্রতিকার:

  • ভারী ওজন তোলার সময় সঠিক ভঙ্গি ব্যবহার করুন।
  • কাজের পর বিশ্রাম নিন এবং গরম সেক দিন (হিট থেরাপি ডিভাইস ব্যবহার করতে পারেন)।
  • ব্যথা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৯. পেশীর সঙ্কোচন বা স্পাজম

পেশীর সঙ্কোচন বা স্পাজম ঘটে যখন পেশী হঠাৎ শক্ত হয়ে যায় এবং স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না। এটি সাধারণত পেশী অতিরিক্ত টান বা আঘাতের ফলে হয়। এটি পিঠের মাঝখানে তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করে এবং চলাফেরায় অসুবিধা সৃষ্টি করে। কখনও কখনও, তীব্র ব্যথার সাথে পেশী শক্ত হয়ে যেতে পারে, যা সাময়িকভাবে চলাচলের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করে দেয়।

লক্ষণ:

  • হঠাৎ তীব্র ব্যথা যা চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি করে।
  • মাংসপেশী শক্ত হয়ে যায়।
  • ব্যথার সাথে টান অনুভূত হয়।

প্রতিকার:

  • গরম সেক বা মৃদু ম্যাসাজ (হিট থেরাপী মাসাজার ব্যবহার করতে পারেন) করুন।
  • ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শে ব্যায়াম করুন।
  • পেশী শিথিল করার জন্য ওষুধ গ্রহণ করুন।

১০. অনিয়মিত জীবনযাপন

অনিয়মিত জীবনযাপন যেমন পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, সঠিক খাদ্য গ্রহণ না করা, বা শারীরিক পরিশ্রম না করার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। পিঠের পেশীগুলোও দুর্বল হয়ে যেতে পারে, যার ফলে পিঠে ব্যথা অনুভূত হয়। নিয়মিত ব্যায়াম না করার কারণে মাংসপেশী শক্ত না থাকলে, পিঠে অতিরিক্ত চাপ পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

লক্ষণ:

  • ধীরে ধীরে পিঠের ব্যথা বাড়ে।
  • শরীরে ক্লান্তি অনুভব হয়।
  • নিয়মিত কাজ করতে অস্বস্তি হয়।

প্রতিকার:

  • পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন (৬-৮ ঘণ্টা)।
  • পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন যা মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং সঠিক ভঙ্গি (পোশ্চার কারেকশন জাতীয় অ্যাডাপটিভ ডিভাইস ব্যবহার করতে পারেন) বজায় রাখুন।

উপসংহার

পিঠের মাঝখানের ব্যথা দৈনন্দিন জীবনের একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণ থেকে উদ্ভূত হতে পারে। পেশী বা লিগামেন্টে চাপ, মেরুদণ্ডের ডিস্ক সমস্যা, মানসিক চাপ, কিডনি সংক্রমণ থেকে শুরু করে দীর্ঘক্ষণ একই ভঙ্গিতে বসে থাকা পর্যন্ত অসংখ্য কারণ পিঠের ব্যথার জন্য দায়ী হতে পারে। এ সমস্যাগুলো কখনো সাময়িক এবং সহজ চিকিৎসায় সেরে যায়, আবার কখনো দীর্ঘস্থায়ী হয়ে জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করে।

এই সমস্যাগুলো প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য সচেতন জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং নিয়মিত ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজের ফাঁকে বিরতি নেওয়া এবং শরীরের ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ না দেওয়া এ সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আর যে কোনো ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে বা তীব্র আকার ধারণ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যাবশ্যক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *